রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
সমকালীন ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়ে ক্ষেপে গিয়েছিল ভারতের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও তাতে তাল দিয়ে গেছে। যে কারণে ম্যাচ শেষে তুমুল হট্টগোল শুরু হয় মাঠে।
সম্প্রচার ক্যামেরায় এই ঘটনা পুরোপুরি দেখা না গেলেও মাঠে থাকা বেশ কিছু ক্যামেরায় এই ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের পতাকা কেড়ে নিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন এক ভারতীয় ক্রিকেটার!
বলা হয় ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। এখানে ট্রফি হাতছাড়া হলেও মেজাজ গরম করা মানায় না। কিন্তু বিশ্বকাপে হারের পর সেই ভদ্রতা ধরে রাখতে পারেনি ভারতের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের উদযাপন সহ্য করতে না পেরে মেজাজ হারিয়ে ভারতীয় একজন খেলোয়াড় এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের থেকে লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে নেন! যা রীতিমতো জাতীয় পতাকার অবমাননা। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল ঘটনা!
পুরো ম্যাচ জুড়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আজে-বাজে ভাষায় স্লেজিং করে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির জুনিয়র নির্বাচক কমিটির সদস্য হাসিবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে ফোনে জানিয়েছেন, ‘ওরা পুরো ম্যাচজুড়েই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেটাররা যখন উৎসব করতে শুরু করল, তখনই ওরা এসে মা-বাপ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। কত আর সহ্য করা যায়! ছেলেরা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যায়। এতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।’
ক্রিকেট ম্যাচের পরপরই ভারতীয়রা ভদ্রতাসূচক করমর্দনও করেননি। তারা রীতিমতো মা-বাপ তুলে গালাগাল করেছিল বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আনুষ্ঠানিকতা মেনে করমর্দন করেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। এই ঘটনায় বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী দুঃখ প্রকাশ করলেও ভারতীয় অধিনায়ক কোনো দুঃখপ্রকাশ করেনি। তারা বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপিয়েই বসে আছেন। এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে আইসসিই। আজ বিকালেই এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে।
Great content! Super high-quality! Keep it up! 🙂
[…] বছরের আগমন । বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন […]
[…] প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত আর সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক […]